
অজস্র রহস্যয় ভরা মিশরের রহস্যময় পিরামিড গিজার মহা পিরামিড বা খুফুর পিরামিড
মিশরের পিরামিড রহস্য ও পিরামিডের ইতিহাস প্রায় ৪,৫০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের বস্তুর তালিকার মধ্যে,অন্যতম বলে মনে করেন। পৃথিবীর আরো ভিন্ন দেশে নানা জায়গায় পিরামিড ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।কিন্তু মিশরের গিজা শহরের পাশে নীল নদীর তটদেশে অবস্থিত,গিজার পিরামিড,পৃথিবীর অন্যান্য পিরামিডের থেকে রহস্য রোমাঞ্চের নিরিখে,মিশরের পিরামিড রহস্যর চাদরে মোড়া বলে মনে করা হয়।
গিজার মহা পিরামিড বা খুফুর পিরামিড (ইংরেজি: Great Pyramid of Giza) গিজার গোরস্তানের তিনটি পিরামিডের মধ্যে সবচাইতে পুরাতন এবং বড়। এটি বর্তমান মিসরের এল গিজা নামক স্থানের কাছে অবস্থিত। ১৪০ মিটার (৪৬০ ফুট) উঁচু পিরামিডে তিনটি প্রধান প্রকোষ্ঠ রয়েছে। এর গ্র্যান্ড গ্যালারির দৈর্ঘ্য ৪৭ মিটার, উচ্চতায় ৮ মিটার। বিজ্ঞানীরা পিরামিডটির ভেতরে একটি ‘বড় শূন্যস্থানের’ সন্ধান পেয়েছেন।
ইতিহাস
মিশোরের সবচেয়ে বড়, পুরোনো এবং আকর্ষনীয় পিরামিড হচ্ছে গিজা'র পিরামিড যা খুফু'র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। এটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগে। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল আনুমানিক ১ লাখ। পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথর খন্ডের এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মত। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর দুরান্তের পাহাড় থেকে। পাথরের সাথে পাথর জোড়া দিয়ে পিরামিড তৈরি করা হত। চার হাজারের বছরের পুরানো এক সমাধিতে অঙ্কিত এক চিত্রে দেখা যায় এক বিশাল স্তম্ভকে স্লেজে করে সরানো হচ্ছে; অনেক মানুষ রশি দিয়ে সেই স্লেজ টেনে নিচ্ছে। আর তাদের মধ্যে একজন পাত্র থেকে জল ঢালছে বালির উপরে। এতে ঘর্ষণ প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। এভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আড়াই টন ওজনের এক একটা ব্লক।
পিরামিড কেন তৈরি করা হয়েছিল
প্রাচীনকালে মিশরের লোকেরা মিশরের রাজা,মানে যাকে আমরা ফ্যারাও বলেই বেশি চিনি। এই ফ্যারাও এর মধ্যে কারোও মৃত্যু হলে,মিশরের লোকেরা ফ্যারাওকে কবরস্থ করার আগে তার মৃত শরীরকে পচনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য,ফ্যারাও এর মৃতদেহকে মমিতে পরিণত করতো।
এই মমি করার পক্রিয়া ০২টি মুখ্য কৌশলে করা হত-অভ্যন্তরীন মমি ক্রিয়া,বাহ্যিক মমি ক্রিয়া। অভন্তরীন মমিক্রিয়ার জন্য,সর্বপ্রথম মৃত ব্যক্তির নাড়ি,ভুঁড়ি সহ বিভিন্ন অঙ্গ,যেমন-কিডনি,ব্রেন,লিভার,যকৃৎ ইত্যাদি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি বার করে নেওয়া হত। মানবদেহের অভ্যন্তরীন অঙ্গ বলতে শুধু হৃদ যন্ত্র বা হৃৎপিন্ড কে শরীরের ভিতরে রেখে দেওয়া হত।
মিশরীয় লোকেদের বিশ্বাস ছিল,মানুষের হৃৎপিণ্ডে মানে হৃদয়ে মানুষের আত্মার বাসস্থান। তাই তারা মৃতদেহের মধ্যে হৃৎপিন্ডটিকে অক্ষত রেখে,মৃত শরীরে বিশেষ পচন রোধক মসলা মাখিয়ে মমি করে রাখত।
অভন্তরীন মমি করার পক্রিয়া শেষ হলে,শুরু হতো বাহ্যিক মমি করার পক্রিয়া। মৃতদেহে বাহ্যিক মমি করণের পক্রিয়ায়,মৃতদেহের বাহ্যিক শরীরে মসলা মাখানোর পর,পুরো মৃতদেহকে লম্বায় ০১.৫কিমি কাছাকাছি পুরো ব্যান্ডেজ দিয়ে মৃত দেহকে জড়িয়ে বেঁধে ফেলা হত। এরপর ব্যান্ডেজ বাঁধার পক্রিয়া শেষ হলে,মৃতদেহকে লাইলেন নামের একপ্রকার দড়ি দিয়ে পুরো মমিকে শক্ত বাঁধনে বেঁধে ফেলা হতো। মৃতদেহ ভালোভাবে বাঁধা হয়ে গেলে,মমি করা মৃতদেহকে বড়ো মকবরার মধ্যে রাখা হত,ফ্যারাও এর পুনঃ জন্ম প্রাপ্তির আসায়। মকবরা হল আসলে পিরামিড (Pyramid),যাকে চলতি ভাষায় অনেকে মকবরা বলে থাকেন।
মিশরের পিরামিড রহস্য নিয়ে,তার নিজের জায়গায় একই ভাবে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। আজও তাই মিশরের পিরামিডের রহস্য,দেশ বিদেশের নামি বিজ্ঞানের সাধক,বিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয়।
আজথেকে প্রায় ৪,৫০০ বছর আগে যখন মানুষ চাকার ব্যবহার জানত না,ছিলনা তখন কোনো জেসিবি কিংবা ক্রেনের মত আধুনিক নির্মাণ সহযোগী জিনিস,অথচ ৪৮১ ফুট উচ্চতায় বড়ো,ভারী পাথরের ব্লক গুলোকে,বয়ে নিয়ে গিয়ে,পিরামিডের নির্মাণ করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষের পক্ষে,আপাদৃষ্টিতে এই কাজ করা প্রায় অসম্ভব।
মিশরের পিরামিডের ইতিহাস একটু সুষ্ঠ মস্তিষ্কে অধ্যয়ন করলে আমরা দেখতে পায় আজ থেকে ৪,৫০০ বছর আগে বিনা কোনো মেশিনারিতে,শুধু মাত্র মানুষের কঠিন পরিশ্রম ও শিল্প কর্ম দ্বারা পিরামিডের মত বড় স্মারক নির্মাণ কার্য,আজও মিশরের পিরামিডের রহস্য হয়ে রয়েই গেছে।
তাহলে কি আমরা মিশরের পিরামিডের ইতিহাস দেখে অনুমান করে নিতেই পারি,আমাদের পূর্ব পুরুষদের কাছে এমন কোনো আধুনিক ও অতি উন্নত প্রযুক্তিগত কলাকৌশল জানা ছিল,যা আমাদের আধুনিক প্রজন্মের চিন্তার বাইরে। না পিরামিড নির্মাণ ও মিশরের পিরামিড রহস্যর পিছনে কোনো ভিন্ন গ্রহের প্রাণীর যোগদান আছে।
মিশরের পিরামিডের রহস্যের মধ্যে একটা ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়,যাকে Orion Correlation Theory বলা হয়ে থাকে।যদি কখনো আপনারা ইজিপ্ট গিয়ে থাকেন,তাহলে রাত্রি বেলা গিজা শহর থেকে অনতিদূরে অবস্থিত ফ্যারাও খুফুর পিরামিড দেখলে দেখতে পাবেন,পিরামিড তিনটির উপরে একই সরল রেখায় অবস্থিত,০৩ টি তারার সমন্বয়ে একটি তারা মণ্ডলকে দেখতে পাওয়া যায়। পিরামিডের উপর অবস্থিত এই ০৩ টি তারার অবস্থান,আপনি পিরামিডকে যে দিক থেকেই দেখুন না কেন,এই তারা ০৩ টিকে সর্বদা একই সরল রেখায় দেখতে পাবেন। তারা গুলোকে দেখে মনে হবে,তারা গুলোর এক একটি পিরামিডের চূড়ার উপর মনির মতো জ্বলছে।
এই তারা মণ্ডলের নাম হল Orion Belt তারা মণ্ডল। এই তিনটি তারার নাম হল- Anitak, Ainilam, Mirtka. এই তিনটি তারাকে সর্বদা মিশরের পিরামিডের উপর ৯০ ডিগ্রি কোনে দেখতে পাওয়া যায়।
ইজিপ্টের ইতিহাস ও মিশরের পিরামিডের এই সব রহস্য দেখে বিশেষজ্ঞদের এক অংশের ধারণা,আমাদের ধরা ধামে ভিন্ন গ্রহের লোকেরা অনেক আগে এসেছিল।
আবার কারো কারো মতে এলিয়েনরা পৃথিবীতে এসেছিল ফ্যারও খুফুর পিরামিডের উপরে রাত্রি বেলা অবস্থান করা ঐ ০৩ টি নক্ষত্রের সমন্বয়ে গঠিত Orion Belt নক্ষত্র মন্ডল থেকে।
পিরামিড মানুষ দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল না এলিয়েনরা তৈরি করেছিল ? সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেনা। তবে মিশরের পিরামিডের কাহিনীতে,Orion Belt নক্ষত্র মণ্ডলের সংযোগ একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে এলিয়নেরা পিরামিডের উপর অবস্থান করা ঐ ০৩ টি তারা থেকে এসেছিল।
পিরামিড কেন তৈরি করা হয়েছিল ? এর উত্তরে বিশেষজ্ঞদের মতামত হল,পিরামিডের নির্মাণ করা হয়েছিল ভিন্ন গ্রহের লোকেদের সাথে সংযোগ রক্ষা করার জন্য।
পিরামিড হল ভিন্ন গ্রহের প্রাণীদের সাথে কমিউনিকেশন টাওয়ার। আর এই জন্য রাত্রি বেলা ঐ ০৩ টি তারার সাথে একই সরল রেখায় নিখুঁত ভাবে ফ্যারও খুফুর পিরামিডের উপর সোজাসোজি সংযোগ ঘটে থাকে।
মিশরের পিরামিডের প্রতিটি কোনে নানা রহস্য লুকিয়ে আছে। কিন্তু মিশরের পিরামিডের ভিতরের ছবিতে ধরা পড়া সুড়ঙ্গ পথ,মিশরের পিরামিড রহস্যকে আরো রহস্য চৌকিত করে তোলে।
পিরামিডের মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় সুড়ঙ্গ পথ আছে,এই সুড়ঙ্গ পথকে এতদিন মানুষ পিরামিডের ভিতরে বায়ু চলাচলের জন্য রাখা হয়েছে বলে মনে করত।কিন্তু মানুষের মনে পিরামিডের সুড়ঙ্গ পথ নিয়ে এই ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। মিশরের পিরামিডের ভিতরের ছবিতে তিনটি বেস চেম্বারের কথা বলা হয়েছে।
এই তিনটি চেম্বার হল- ০১.বেস চেম্বার,০২. কুইন চেম্বার,০৩. কিং চেম্বার। আর সবথেকে মজার ব্যাপার এই তিনটি চেম্বার ,সুড়ঙ্গপথ দিয়ে,একে অপরের সাথে যুক্ত রয়েছে।বিশেষজ্ঞদের ধারণা এখনো মিশরের পিরামিডের ভিতরে আরো অনেক সুড়ঙ্গ পথ ও চেম্বার রয়েছে,যেগুলো এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
ইজিপ্টের মানুষের কাছে মিশরের পিরামিডের কাহিনী নিয়ে অনেক গল্প শোনা যায়,ইজিপ্টের মানুষের ধারণা ছিল ইজিপ্টের রাজা অথ্যাৎ ফ্যারাও এর মমি পিরামিডের (Pyramid) চেম্বারের,ভিতরে রাখা হলে ফ্যারাও এর আত্মা,আকাশের উপরে থাকা ঐ তিনটি তারার দিকে যাবে। ইজিপ্টের পিরামিডের ইতিহাসে এই ঘটনাকে Star Shaft Theory বলা হয়।
আপনারা জানলে অবাক হবেন মিশরের পিরামিডের অজানা রহস্যের মধ্যে একটা হল,বর্তমানে যেখানে গিজা শহরের কাছে ইজিপ্টের পিরামিড রয়েছে,সেই জায়গা হল আমাদের পৃথিবীর মধ্যস্থল বা মূল কেন্দ্র বিন্দু। যদি পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং উত্তর ও দক্ষিণে দুটি সরলরেখা দিয়ে যোগ করা হয়,তাহলে দেখতে পাওয়া যায় রেখা দুটি একে অপরকে পরস্পরে গিজার পিরামিডের উপর সমানে ক্রস করছে। আর ঐ ক্রস করা জায়গাটি পৃথিবীর কেন্দ্র বিন্দুকে নির্দেশ করছে।
আপনারা আরো জানলে অবাক হবেন যে,ফ্যারও খুফুর পিরামিডের (Pyramid) সেন্টার পয়েন্ট থেকে সরল রেখা টানলে,সেই সরল রেখা সোজা নর্থ পোলে গিয়ে মিশে যাচ্ছে।তাহলে ভেবে দেখুন,আধুনিক জ্যামিতির জনক হিসাবে আমরা পিথাগোরাসকে জানি। কিন্তু পিথাগোরাসের জন্ম হওয়ার কত বছর আগে,যখন মানুষ জ্যামিতি কি জিনিস জানতনা,অথচ সেই সময় ইজিপ্টের লোকেরা বিনা দিকদর্শন যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে,এতটা নিখুঁতভাবে পিরামিডকে পৃথিবীর কেন্দ্র বিন্দুতে স্থাপন করেছিল।
রহস্যময় পিরামিডের নানা ধরণের সব অলৌকিক ঘটনা ও মিশরের পিরামিডের অজানা রহস্যগুলি,আধুনিক বিজ্ঞানকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়।
একবার,মিশরের রহস্যময় পিরামিড নির্মাণে মানুষের সাথে ভিন্ন গ্রহের প্রাণীদের যোদানের দিকে ক্রমশ ইশারা করে যায়।
তখনকার দিনে কোনো রকম ড্রোন ক্যামেরা,হেলিকপ্টার এর মতো কোনো আধুনিক যন্ত্র ছিলনা যে ওপর থেকে সঠিক aliment নির্ণয় করে নির্মাণ কাজ শুরু করবে।পিরামিড নির্মাণে,একেবারে নিখুঁত ও সঠিক aliment শুধু মাত্র অন্য গ্রহের প্রাণীরাই দিতে পারত। এলিয়েনরা তাদের স্পেস শিপ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র বিন্দু aliment নির্ণয় করার দক্ষতা রাখতো।
ইজিপ্টের পিরামিড নির্মাণে যে সমস্ত পাথর গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল,সেগুলোকে দেখে লাইম স্টোন মনে হলেও, সেগুলি কিন্তু আসলে লাইম স্টোন নয়।এই পাথরগুলি কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এই নিয়েও গবেষকদের মনে নানা প্রশ্ন আছে। ইজিপ্টের পিরামিড নির্মাণে ব্যবহৃত পাথরের কিউব গুলি হল খুব ভারী এবং মজবুত।প্রত্নতাত্ত্বিকরা মিশরের রহস্যময় পিরামিডে ব্যবহৃত পাথরের কিউব গুলি সমন্ধে,পাথরের গুণাবলী ও কি উপাদানে পাথর গুলি তৈরি হয়েছে,সেই নিয়ে কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।
আজথেকে ৪,৫০০ বছর আগে মিশরের পিরামিডের ইতিহাসে,পিরামিডের মধ্যে প্রাকৃতিক এয়ার কন্ডিশনারের প্রয়োগ করেছিল মিশরের লোকেরা।ইজিপ্টের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন,তাই ইজিপ্টে সর্বদা ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকে। এই চরম তাপমাত্রার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মিশরের পিরামিডের ভিতরে,এমন এক প্রাকৃতিক শীত ও তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করা হয়েছিল যে,গরমকালে ইজিপ্টের বাইরের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়ে গেলেও পিরামিডের ভিতরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি থাকত।
ইজিপ্টের টুরিস্ট প্লেসের প্রায় প্রতি জায়গায়,বিভিন্ন প্রাচীন মন্দির ও স্থাপত্যের দেওয়ালে,স্পেস শিপ এবং বড়ো মাথা,ছোট চোখ ও আকারে ছোট আধুনিক এলিয়নের ন্যায় ছবি দেখতে পাওয়া যায়।ইজিপ্টের স্থাপত্য শিল্প নিদর্শনে এতো বেশি এলিয়নের ছবি খোদায় থাকার জন্য মনে করা হয়,পিরামিড আসলে এলিয়নের দ্বারা বানানো স্থাপত্য কর্ম।
পৃথিবীতে প্রতি বছর জুন মাসের ২১ তারিখ সবথেকে বড়ো দিন এবং সবথেকে ছোট রাত হয়। কিন্তু আপনারা যদি ঐ ২১ জুন ইজিপ্টের পিরামিডের সূর্যাস্ত দেখেন,তাহলে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাবেন। ঐ দিন গিজার পিরামিডে সূর্যাস্ত দেখলে দেখতে পাবেন,সূর্য Sphinx এর মাথার উপর দিয়ে অস্ত যাচ্ছে,তাহলে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাবেন। ঐ দিন গিজার পিরামিডে সূর্যাস্ত দেখলে দেখতে পাবেন,সূর্য Sphinx এর মাথার উপর দিয়ে অস্ত যাচ্ছে,তাহলে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে পাবেন। ,পিরামিডের এই সমস্ত অলীক ঘটনা,মিশরের পিরামিডের রহস্যকে রোমহর্ষক করে তোলে এবং গিজার পিরামিডকে বাকি আরো অন্যান্য পিরামিড থেকে আলাদা করে দেয়।
ইজিপ্টে ড্যান্ডেরা নামে একটি জায়গা আছে। সেখানে একটি বহু পুরাতন মন্দির আছে,এই মন্দিরের প্রাচীন নাম হল ড্যান্ডেরা লাইট কমপ্লেক্স।তখনকারদিনে ইজিপ্টের লোকেরা এই মন্দিরটি তাদের ভগবান জন্য বানিয়েছিল। মিশরের এই মন্দিরটি হল মিশরের অন্যান্য আরোও রসহস্যময় জায়গার মধ্যে অন্যতম একটি।ইজিপ্টের ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখতে পাওয়া যায়,ড্যান্ডেরা লাইট কমপ্লেক্সের বেশিরভাগ অংশ বালিতে ঢাকা পড়েছিল। ১৮০০ সালে ইজিপ্টের সরকার,প্রত্নতত্ব বিভাগের চেষ্টায় মন্দির চত্বর থেকে বালি সরিয়ে দেয়।
মন্দির চত্বর থেকে বালির স্তর হটিয়ে দিলে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের হাতে এক নতুন জিনিস হাত লাগে। গবেষকরা ড্যান্ডেরা লাইট কমপ্লেক্সের দেওয়ালে,মানব সহ আধুনিক ইলেকট্রিক বাল্বের একটি খোদায় করা প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। ছবিতে ইলেকট্রিক বাল্বটির সাথে তার জুড়ে, লোকটা বোঝাতে চায়ছে সাবধানতা অবলম্বন না করলে বিপদ হতে পারে।
এই থেকে বোঝা যায় প্রাচীন ইজিপ্টের লোকেরা বিদ্যুৎ এর ব্যবহার জানত এবং ইজিপ্টের লোকেরা বৈদ্যুতিক বাল্বের ব্যবহার মূলত রাত্রিবেলা পিরামিড বানানোর কাজে ব্যবহার করতো।
ফ্যারাও খুফুর পিরামিডের রক্ষক বলে মনে করা হয় Sphinx কে, আর এই Sphinx এর মূর্তিটি নির্মাণ করার জন্য আলাদা,আলাদা করে অনেকগুলি পাথর দিয়ে বানানো হয়নি।Sphinx কে বানানো হয়েছিল শুধুমাত্র একটি মাত্র পাথর দিয়ে। শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাই সত্য। আর সেই জন্য Sphinx হল গগ্রীনিচ রেকর্ডে পৃথিবীর সবথেকে বড় একটি মাত্র পাথরের উপর বানানো মূর্তি।
Sphinx সহ পিরামিড গুলি আগে বালিতে ঢাকা পড়েছিল। পরে ইজিপ্ট সরকার এগুলি পরিষ্কার করে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।Sphinx এর মূর্তিটিকে যখন বালির চাদর সরিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছিল,তখন প্রত্নতত্ববিদরা অজান্তেই Sphinx এর নিচে ০৩ টি চেম্বারের খোঁজ পায়।
হয়তো এই চেম্বারের ভিতরে নতুন কোনো মিশরের পিরামিডের রহস্যর মত কিছু লুকিয়ে আছে,যা হয়তো আবার কোনোদিন আমাদের সামনে উন্মোচিত হবে।
গিজার পিরামিডের ওজন প্রায় ৫৭ লক্ষ ৫০,০০০ টনের কাছাকাছি। সেই তুলনায় বিশ্বের অন্যতম গগন চুম্বি অট্টলিকা দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার ওজন ০৫ লক্ষ টনের মত।
মিশরের পিরামিড রহস্যর সমাধান করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আধুনিক প্রযুক্তি উন্নত হলেও ইজিপ্ট সরকার চায়না মিশরের পিরামিড রহস্য বিশ্বের কাছে উন্মোচিত হোক।
আর শুধু মাত্র বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণ করে পিরামিডের ভিতরের ছবি ও পিরামিডের ভিতরের মধ্যে লুকানো রহস্যর উন্মোচনও সম্ভব নয়।আর শুধু মিশর কেন কোনো দেশের সরকার চাইবেনা পিরামিডকে ধ্বংস করে পিরামিডের ভিতরের রহস্য উন্মোচিত করতে।কারণ পিরামিডকে ধ্বংস না করে কিংবা কোনো রকম খনন কার্য না চালিয়ে পিড়ামিডের ভিতরের ছবি ও রহস্য জানা প্রায় অসম্ভব।
তাছাড়া পিরামিডের রহস্য উন্মোচিত হলে,মিশরের পিরামিড রহস্য কে ঘিরে মানুষের মনে যে জিজ্ঞাসা আছে তার অবসান হয়ে যাবে। আর এর ফলে ধীরে ধীরে মিশরের পিরামিড দর্শনের অভিলাষ,মানুষের মন থেকে মুছে যেতে পারে। আর ইজিপ্ট সরকার কোনোদিন চাইবেনা মিশরের পিরামিড রহস্য উন্মোচন করে তাদের দেশের পর্যটক ব্যবস্থার ক্ষতি করে দেশের আর্থিক ক্ষতি করতে ।


মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
জনপ্রিয় পোস্ট
-
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
- পোস্টদাতা মুনমুন
- February 22, 2021
-
ইলোরা গুহাসমূহ
- পোস্টদাতা মুনমুন
- March 15, 2021
-
জাতীয় সংসদ ভবন
- পোস্টদাতা মুনমুন
- March 10, 2021
-
ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যান
- পোস্টদাতা মুনমুন
- March 15, 2021
নিউজলেটার
নতুন আপডেট পেতে আমাদের মেইলিং তালিকায় সাবস্ক্রাইব করুন!